যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক বন্দীকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় কারা কর্মকর্তাদের দ্বারা মারধরের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। মারধরের পরদিন, ১১ ডিসেম্বর, ৪৩ বছর বয়সী রবার্ট ব্রুকস মারা যান।
ব্রুকস ১০ ডিসেম্বর মারা যান। গত ৯ ডিসেম্বর নিউইয়র্কের মার্সি কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিতে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল, এবং একটি বডিক্যাম ভিডিওতে এই ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। বডিক্যাম, যা সাধারণত নিরাপত্তা কর্মকর্তা বা পুলিশ সদস্যরা ব্যবহারের জন্য পরিধানে ব্যবহার করেন, এই ভিডিওটি পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, রবার্টকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শয্যায় বসানো হয়েছে এবং তখন একের পর এক আঘাত করছে কারা কর্মকর্তারা। একটি দৃশ্যে দেখা যায়, একজন কর্মকর্তা রবার্টের মুখে কিছু একটা চাপিয়ে দিচ্ছে, আর অন্য একজন কর্মকর্তা পায়ে পিষ্ট করে তাঁর পেটে আঘাত করছেন।
মারধরের পরদিন, ১০ ডিসেম্বর, ব্রুকসের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় জানা গেছে, তাঁর মৃত্যুর কারণ শ্বাসকষ্ট। তবে, মারধরের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়, এবং ভিডিওতে কোনো কথা শোনা যায়নি।
এ ঘটনায় নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হকুল ১৩ জন কারা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন, এবং একজন কারা নার্সও বরখাস্ত হয়েছেন। তদন্ত শুরু করেছে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লিটিটিয়া জেমসের দপ্তর।
এদিকে, নিউইয়র্কের কারাগারকর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন এই ভিডিওটিকে 'চিন্তার বাইরে' বলে মন্তব্য করেছে। রবার্ট ব্রুকস ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন, এবং অভিযোগ রয়েছে যে তিনি একটি হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
ব্রুকসের পরিবারের আইনজীবী এলিজাবেথ মাজুর এক বিবৃতিতে বলেছেন, "ভিডিওতে প্রাণঘাতী আক্রমণের ভয়ানক দৃশ্য দেখা গেছে, যা আমাদের ধৈর্য্য পরীক্ষা করছে।"